শিরোনাম:

সুশাসন ও দাবী পরিশোধে দৃঢ় অঙ্গীকারঃ ৫ বছরে সব সূচকে ন্যাশনাল লাইফের ঈর্ষণীয় সাফল্য

বিশেষ প্রতিবেদক আগস্ট ২৬, ২০২৫



Warning: getimagesize(): https:// wrapper is disabled in the server configuration by allow_url_fopen=0 in /home/arthovis/public_html/news.php on line 103

Warning: getimagesize(https://arthovision.com/assets/uploads/news-360.jpeg): Failed to open stream: no suitable wrapper could be found in /home/arthovis/public_html/news.php on line 103

বিশেষ প্রতিবেদক: দেশের শীর্ষতম জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী গত পাঁচ বছরে প্রিমিয়াম আয়, লাইফ ফান্ড এবং দাবি পরিশোধ—এই তিনটি সূচকে ধারাবাহিক ও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি শুধু আর্থিক দিক থেকে শক্তিশালী হয়নি, বরং গ্রাহক আস্থা ও বাজারে অবস্থান আরও মজবুত করেছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ন্যাশনাল লাইফের প্রিমিয়াম আয় ছিল এক হাজার ৭৮ কোটি টাকা, যা পরবর্তী বছরে ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ২০১ কোটি টাকা। ২০২১ সালে বৃদ্ধি পেয়ে প্রিমিয়াম আয় হয় এক হাজার ৪২৩ কোটি টাকা, ২০২২ সালে এক হাজার ৬১৬ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে এক হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে রেকর্ড গড়ে প্রিমিয়াম আয় পৌঁছে ২ হাজার ১০৬ কোটি টাকায়। অর্থাৎ পাঁচ বছরে প্রিমিয়াম আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯৫ শতাংশ বা দ্বিগুণ।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রতি বছর প্রিমিয়ামে ধারাবাহিক বৃদ্ধি প্রতিষ্ঠানটির সুশৃঙ্খল ব্যবসায়িক নীতি ও গ্রাহককেন্দ্রিক পণ্যের প্রভাব প্রতিফলিত করছে। এ জন‌্য ভূমিকা রেখেছে দক্ষ নেতৃত্ব এবং দৃঢ় প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা।

লাইফ ফান্ডে ন্যাশনাল লাইফের প্রবৃদ্ধি আরও নজরকাড়া। ২০১৯ সাল পর্যন্ত লাইফ ফান্ড ছিল ৩,৬৯৯ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৪,০০৭ কোটি টাকা, ২০২১ সালে ৪,৩৮৬ কোটি টাকা, ২০২২ সালে ৪,৮০১ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে ৫,৩০১ কোটি টাকা, এবং ২০২৪ সালে রেকর্ড ৫,৯৭৩ কোটি টাকায়। পাঁচ বছরে লাইফ ফান্ডে যোগ হয়েছে প্রায় ২ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা, যা প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক পরিকল্পনা, বিনিয়োগ নীতি এবং গ্রাহক আস্থা বৃদ্ধির প্রমাণ। বিশেষ করে ২০২২–২০২৪ সময়ে ফান্ডে উল্লিখিত প্রবৃদ্ধি দেশের বীমা খাতে ন্যাশনাল লাইফকে বিশেষ অবস্থানে স্থাপন করেছে।

গ্রাহক আস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রে দাবি পরিশোধের ধারাবাহিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ন্যাশনাল লাইফের দাবি পরিশোধের তথ্য তা প্রমাণ করে। ২০১৯ সালে দাবি পরিশোধ করা হয় ৭৩৫ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৭৯৯ কোটি টাকা, ২০২১ সালে ৮৮২ কোটি টাকা, ২০২২ সালে ১,০৫২ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে ১,১০০ কোটি টাকা এবং ২০২৪ সালে রেকর্ড ১,২০৪ কোটি টাকা।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধারাবাহিক বৃদ্ধি প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সুস্থতা ও গ্রাহকসেবা সক্ষমতার প্রতিফলন।

প্রিমিয়াম আয়, লাইফ ফান্ড ও দাবি পরিশোধ—এই তিনটি সূচকের ধারাবাহিক বৃদ্ধি প্রমাণ করছে, ন্যাশনাল লাইফ কেবল আর্থিক দিকেই নয়, গ্রাহক আস্থা ও বাজারে অবস্থানেও শীর্ষে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে সুশাসন ও সুসংগঠিত ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা ও আধুনিক পণ্য নীতি, গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগ নীতি।

২০২০–২০২৪ সালের মধ্যে বিশেষ করে প্রিমিয়াম আয় ও লাইফ ফান্ডের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের বীমা খাতে আরও দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে এসেছে। দাবির ধারাবাহিক বৃদ্ধি ও রেকর্ড পরিশোধ গ্রাহকদের আস্থা আরও মজবুত করেছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ন্যাশনাল লাইফের এই ধারাবাহিক সাফল্য প্রমাণ করে, প্রতিষ্ঠানটি কেবল আর্থিকভাবে শক্তিশালী নয় বরং দেশের বীমা খাতে নির্ভরযোগ্য এবং আস্থা জাগানো প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ন্যাশনাল লাইফের ধারাবাহিক এই সাফল্যের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কাজিম উদ্দিন বলেন, আমরা কোম্পানীতে কর্পোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছি এবং দাবী পরিশোধে গুরুত্ব দিয়েছি। তিনি বলেন ২০২০ সালে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দ্রুত দাবি পরিশোধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। তাছাড়া মাঠপর্যায়ে কর্মীরাই সরাসরি গ্রাহকের হাতে মেয়াদোত্তীর্ণ দাবি ও মৃত্যু দাবির চেক পৌঁছে দেওয়ায় গ্রাহকের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, এসব কারণে ২০২৪ সালে কোম্পানি ১২০৫ কোটি টাকা দাবি পরিশোধের পাশাপাশি ২১০৬ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে। গত ৫ বছরে মোট প্রিমিয়াম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১০৭৮ কোটি থেকে ২১০৬ কোটিতে পৌঁছেছে। বিশেষভাবে, ফার্স্ট ইয়ার প্রিমিয়ামও ২০০ কোটি থেকে ৫৮০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কর্মীদের আয় ধারাবাহিক বৃদ্ধির কারণে তারা পেশায় টিকে আছে, আর এ কারণে কোম্পানির সাফল্যও অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজিম উদ্দিন আরো বলেন একটি দাবী পরিশোধের মাধ্যমে দশটি নতুন গ্রাহক সৃষ্টি হয়। সর্বোচ্চ দাবী পরিশোধের জন্য সরকার ২০২৩ ও ২০২৪ পরপর দু’বছর ন্যাশনাল লাইফকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করে।